বাংলাদেশে নাম রাখার সময় অনেকেই অর্থবহ এবং ধর্মীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নাম বেছে নিতে চান। বিশেষ করে
স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম খোঁজার সময় বাবা-মায়েরা চান নামটি যেন কুরআন ও ইসলামিক সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। স অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া ইসলামিক মেয়েদের নাম শুধু উচ্চারণে নয়, অর্থেও অত্যন্ত সুন্দর ও গভীর।
উদাহরণস্বরূপ, সাবা অর্থ মৃদু বাতাস, যা শান্তি ও কোমলতার প্রতীক। সামাহ মানে উদারতা বা ক্ষমাশীলতা, যা ইসলামে একটি মহৎ গুণ হিসেবে গণ্য হয়। সাফিয়া শব্দটি এসেছে আরবি থেকে, যার অর্থ বিশুদ্ধ, পবিত্র বা প্রিয় বন্ধু। এছাড়া সুমাইয়া” নামটি ইসলামের প্রথম শহীদ নারী সুমাইয়া বিনতে খাইয়াতের নাম থেকে নেওয়া হয়েছে, যা সাহস ও ঈমানের প্রতীক।
আরও কিছু সুন্দর স দিয়ে ইসলামিক নাম হলো সাজিদা (যিনি সেজদা করেন, আল্লাহভক্ত নারী)
সাবিহা (সুন্দরী, উজ্জ্বল)
সাদিয়া (সৌভাগ্যবতী বা সফল)
সামিরা (রাতের সঙ্গী, মধুর বক্তা)
সারিয়া (রাত্রির যাত্রী বা বৃষ্টির মেঘ)
সানিয়া (দ্বিতীয়, সম্মানিত)
এই নামগুলো শুধু ধ্বনিগতভাবে মনোমুগ্ধকর নয়, বরং এগুলোর অর্থেও রয়েছে ইসলামী মূল্যবোধের গভীর প্রকাশ। ইসলামিক নাম সাধারণত এমন হয় যা শিশুর চরিত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতার প্রকাশ ঘটায়।
নাম নির্বাচন শুধু একটি পরিচয় নয়, এটি ব্যক্তিত্বের প্রতিফলনও বটে। তাই স দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম বেছে নেওয়ার সময় অর্থ, উচ্চারণ ও ধর্মীয় তাৎপর্য — এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করা জরুরি। সুন্দর অর্থবহ নামই হতে পারে একটি শিশুর জীবনের প্রথম আশীর্বাদ।